Skip to main content

Posts

Showing posts from 2017

During these times, the monastery was the fact that they had just dealt with it, I will not argue

যে কালে এই সকল আশ্রম সত্য ছিল সে কালে তাহারা ঠিক কিরূপ ছিল তাহা লইয়া তর্ক করিব না, করিতে পারিব না৷ কিন্তু ইহা নিশ্চয় যে, এই সকল আশ্রমে যাঁহার বাস করিতেন তাঁহারা গৃহী ছিলেন এবং শিষ্যগণ সন্তানের মতো তাঁহাদের সেবা করিয়া তাঁহাদের নিকট হইতে বিদ্যা গ্রহণ করিতেন৷ এই ভাবটাই আমাদের দেশের টোলেও কতকটা পরিমানে চলিয়া আসিয়াছে৷

Representatives teacher one day tapobane

এক দিন তপোবনে ভারতবর্ষের গুরুগৃহ ছিল, এইরূপ একটা পুরাইকথা আমাদের দেশে প্রচলিত আছে৷ অবশ্য তপোবনের যে একটা পরিষ্কার ছবি আমাদের মনে আছে তাহা এবং তাহা অনেক অলৌকিতার কুহেলিকায় আচ্ছন্ন হইয়া পড়িয়াছে৷ 

The truth is, the human mind will be found.

আসল কথা, মানুষের মন পাইতে হইবে৷ তাহা হইলে যেটুকু আয়োজন করা যায় সেটুকুই পুরা ফল দেয়৷ ভারতবর্ষ যখন শিক্ষা দিত তখন মন পাইয়াছিল কী করিয়াা সে কথাটা ভাবিয়া দেখা চাই _ বিদেশী ইউনিভাসিটির ক্যালেন্ডার খুলিয়া তাহার রস বাহির করিবার জন্য তাহাতে পেন্সিলের দাগ দিতে নিষেধ করিব না, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এই বিচারটাও উপেক্ষার বিষয় নহে৷ কী শিখাইব তাহার ভাবিবার বটে, কিন্তু যাহাকে শিখাইব তাহার সমস্ত মনটা কী করিয়া পাওয়া যাইতে পারে সেও কম কথা নয়৷

The reform has entered into a blind us to the bone.or এ সম্বন্ধে আমাদের হাড়ের মধ্যে একটা অন্ধ সংস্কার প্রবেশ করিয়াছে৷

এ সম্বন্ধে আমাদের হাড়ের মধ্যে একটা অন্ধ সংস্কার প্রবেশ করিয়াছে৷ যেমন তিব্বতী মনে করে যে লোক ভাড়া করিয়া তাহাকে দিয়া একটা মন্ত্রলেখা চাকা চালাইলেই পূণ্য লাভ হয় তেমনি আমরাও মনে করি, কোনো্মতে একটা সভা স্থাপন করিয়া কমিটির দ্বারা সেটা চালাইয়া যাই তবে আমরা ফললাভ করিব৷ বস্তুত সেই স্থাপন করাটাই যেন লাভ৷ আমরা অনেক দিন হইল বিজ্ঞানসভা স্থাপন করিয়াছে, তাহার পরে বছর বিলাপ করিয়া আসিয়াছি দেশের লোকে বিজ্ঞানশিক্ষায় উদাসীন৷ কিন্তু একটা বিজ্ঞান সভা স্থাপন করা এক, আর দেশের লোকের চিত্তকে বিজ্ঞানশিক্ষায় নিবিষ্ট করা আর এক৷ সভা ফাঁদিলেই তাহার পরে দেশের লোক বিজ্ঞানী হইয়া উঠিবে, এরুপ মনে করা ঘোর কলিযুগের কল নিষ্ঠার পরিচয়৷

সময়ের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার নহে or problems in education

আমাদের  একটা মুশকিল এই যে , আমরা ইংরেজী বিদ্যা ও বিদ্যালযের সঙ্গে সঙ্গে ইংরেজি সমাজকে, অর্থা১ সেই বিদ্যা ও বিদ্যালয়কে তাহার যথাস্থানে দিখেয়ে পাই না৷ আমরা ইহাকে সজীব লোকালয়ের সহিত মিশ্রিত করিয়া জানি না৷ এইজন্য সেই বিদ্যালয়ের এদেশী প্রতিরূপটিকে কেমন করিয়া আমাদের জীবনের সঙ্গে মিলাইয়া লইতে হইবে তাহাই জানি না, অথচ ইহাই জানা সব চেয়ে প্রয়োজনীয়৷ বিলাতের কোন্ কলেজে কোন্ বই পড়ানো হয় এবং তাহার নিয়ম কী, ইহা লইয়া তর্কবিতর্কের কালক্ষেপ করা সময়ের সম্পূর্ণ সদ্ব্যবহার নহে৷

The boarding school is not to say that it is pleasant picture appears on the watch up

বিদ্যালয়ে ঘর বানাইলে তাহা বোডিং ইস্কুল-আকার ধারণ করে৷ এই বোডিং ইস্কুল বলিতে যে ছবি মনে জাগিয়া উঠে তাহা মনোহর নয়, তাহা বারিক পাগ্লাগারদ, হাসপাতাল বা জেলেরই এক গোষ্ঠীভুক্ত৷ অতএব বিলাতের নজির একেবারে ছাড়িতে হইবে, কারণ বিলাতের ইতিহাস বিলাতের সমাজ আমাদের নহে৷ আমাদের দেশের লোকের মনকে কোন আদর্শ বহু দিন মুগ্ধ করিয়াছে< আমাদের দেশের হৃদয়ে রসসঞ্চার হয় কিসে, তাহা ভালো করিয়া বুঝিতে হইবে৷ বুঝিবার বাধা যথেষ্ট আছে৷ আমরা ইংরেজি  ইস্কুলে পড়িয়াছি, যে দিকে তাকাই ইংরেজের দৃষ্টান্ত আমাদের চোখের সামনে প্রত্যক্ষ৷ ইহার আড়ালে, আমাদের দেশের ইতিহাস, আমাদের স্বজাতির হৃদয়, অস্পষ্ট হইয়া আছে৷ আমরা ন্যাশনাল পতাকাটাকে উচ্চে তুলিয়া যখন স্বাধীন চেষ্টায় কাজ করিব বলিয়া কোমার বাঁধিয়া বলি তখনও বিলাতের বেড়ি কোমরবন্ধ হইয়া আমাদিগকে বাঁধিয়া ফেলে, আমাদিগকে নজিরের বাহিরে নড়িতে দেয় না৷

If we just understand

 অতএব আমাদের এখনকার প্রয়োজন যদি আমরা ঠিক বুঝি তবে এমন ব্যবস্থা করিতে হইবে, যাহাতে বিদ্যালয় ঘরের কাজ করিতে পারে, যাহাতে পাঠ্য বিষয়ের বিচিত্রতার সঙ্গে অধ্যাপনার সজীবতা মিশিতে পারে, যাহাতে পুঁথির শিক্ষাদান এবং হৃদয়মনকে গড়িয়া তোলা দুই ভারই বিদ্যালয় গ্রহণ করে৷ দেখিতে হইবে আমাদের দেশে বি্দ্যালয়ের সঙ্গে বিদ্যালয়ের চতুর্দিকের যে বিচ্ছেদে, এমন কি বিরোধ আছে, তাহার দ্বারা যেন ছাত্রদের মন বিক্ষিপ্ত হইয়া না যায় ও এইরূপে েবিদ্যাশিক্ষাটা যেন কেবল দিনের মধ্যে কয়েক ঘন্টা মাত্র সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র হইয়া উঠিয়া বাস্তবিকতাসম্পর্কশূন্য একটা অত্যন্ত গুরুপাক অ্যাবস্ট্রাক্ট ব্যাপার হইয়া না দাঁড়ায়৷

There are therefore agree with the school

    এইজন্য সেখানকার বিদ্যালয় সঙ্গে মিশিয়া আছে, তাহা সমাজের মাটি হইতেছে রস টানিতেছে এবং সমাজকে ফলদান করিতেছে৷     কিন্তু বিদ্যালয় সেখানে চারিদিকের সমাজেরে সঙ্গে এক হইয়া মিশিতে পারে নাই - যাহা বাহির হইতে সমাজের উপরে চাপাইয়া দেওয়া তাহা শুল্ক, তাহা নির্জীব, তাহার কাছ হইতে যাহা পাই তাহা কষ্টে পাই, এবং সে বিদ্যা প্রয়োগ করিবার বেলা কোনো সুবিধা করিয়া উঠিতে পারি না৷ দশটা হইতে চারটে পর্যন্ত যাহা মুখস্থ করি, জীবনের সঙ্গে, চারি দিকের মানুষের সঙ্গে, তাহার মিল দেখিতে পাই না৷ বাড়িতে বাপ মা ভাই বন্ধুরা যাহা আলোচনা করেন বি্দ্যালয়ের শিক্ষার সঙ্গে তাহার যোগ নাই< বরঞ্চ অনেক সময়ে বিরোধ আছে৷ এমন অবস্থায় বিদ্যালয় একটা ইঞ্জিনমাত্র হইয়া থাকে৷ তাহা বস্তু জোগায় প্রাণ জোগায় না৷ এইজন্য বলিতেছি< ইউরোপে বিদ্যালয়ের অবিকল বাহ্য নকল করিলেই আমরা যে সেই জিনিস পাইব এমন নহে৷ এই নকলে সেই বেঞ্জি, সেই টেবিল, সেই প্রকার কার্যপ্রণালী সমস্তই ঠিক মিলিইয়া পাওয়া যায়, কিন্তু তাহা আমাদের পক্ষে বোঝা হইয়া উঠে৷    পূর্বে যখন আমরা গুরুর কাছে বিদ্যা পাইতাম, শিক্ষকের কাছে নহে - মানুষের কাছে জ্ঞান চাহ...

Still, what gets people out of men

   তবু মানুষের কাছ হইতে মানুষ যাহা পায় কলের কাছ হইতে তাহা পাইতে পারে না৷ কল সম্মুখে উপস্থিত করে, কিন্তু দান করে না, তাহা তেল দিতে পারে, কিন্তু আলো জ্বালাইবার সাধ্য নেই৷   ইউরোপে মানুষ সমাজের ভিতর থাকিয়া মানুষ হইতেছে, ইস্কুল তাহার কথঞ্চিত সাহায্য করিতেছে৷ লোকে যে বিদ্যা লাভ করে সে বিদ্যাটা সেখানকার মানুষ হইতে বিচ্ছিন্ন নহে, সেইখানেই তাহার চর্চা হইতেছে< সেইখানেই তাহার বিকাশ ইহতেছে সমাজের  মধ্যে নানা আকারে নানা ভাবে তাহার সঞ্চার হইতেছে, লেখাপড়ায় কথাবার্তার  কাজে কর্মে তাহা অহরহ প্রত্যক্ষ হইয়া উঠিতেছে৷ সেখানে জনসমাজ যাহা কালে কালে নানা ঘটনায় নানা লোকের দ্বারায় লাভ করিয়াছে, সঞ্চয় করিয়াছে এবং ভোগ করিতেছে, তাহাই বিদ্যালয়ের ভিতর দিয়া বালকদিগকে পরিবেশনের একটা উপায় করিয়াছে মাত্র৷

শিক্ষা সমস্যা-১

  এইজন্য শিক্ষাপরিষদের প্রতিষ্ঠাতাগণ যখন উ্দ্যোগে প্রবৃত্ত আছেন তখন দেশের সর্বসাাধাারণ তরফ হইতে নিজের চিত্ত, নিজের অভাব, বুঝিবার জন্য একটা অালোচনা হওয়া উচিত৷ সেই আলোচনাকে জাগাইয়া তোলাই আমার এই রচনার প্রধান উদ্দেশ্য৷ এই উপলক্ষে-যে ভাবটি আমার মনের সম্মুখে জাগ্রত হইয়া উচিয়াছে তাহাকে দেশের দরবারে উপস্থিত করা আমার কর্তব্য৷ যদি শিক্ষিত সমাজের প্রচলিত সংস্কারের সঙ্গে ইহার বিরোধ বাধে তবে ইহা গ্রাহ্য হইবে না, জানি৷ যদি গ্রাহ্য না হয় তবে আমাদের একটা সুবিধা আছে - আপনারা সমস্তটাকে কবিকল্পনার আকাশকুসুম বলিয়া অতি সংক্ষেপেই বর্জন করিতে পারিবেন এবং আমিও ব্যর্থ কবিদের সাস্তনাস্থল "পস্টরিটি অর্থাত কোনো একটা অনির্দিষ্ট উত্তরকালের মধ্যে আমার অনাদৃত প্রস্তাবটির ভাবী সদগতি কল্পনা করিয়া আশ্বাস লা—ভের চেষ্টা করিব৷ কিন্তু ততপূর্বে আজ আপনাদের নিকট বহুল পরিমাণে ধৈর্য ও ক্ষমা সানুনয়ে প্রর্থনা করি৷ ইস্কুল বলিতে আমরা যাহা বুঝি সে একটা শিক্ষা দিবার কল৷ মাস্টার এই কারখানার একটা অংশ৷ সাড়ে দশটার সময় ঘন্টা বাজাইয়া কারখানা খোলে৷ কল চলিতে আরম্ভ হয়< মাস্টারেরও মুখ চলিতে থাকে৷ চারটের সময় কারখানা বন্ধ হয়- মাস্টা...